Skip to main content

খবর সংকলন


হেফাজতের লংমার্চ- চারিদিকে উত্তেজনা- মঞ্চ দখলের ঘোষণা


সরকার হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে মুনাফেকি আচরণ করছে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির নেতারা বলেছেনসরকার একদিকে আমাদের লংমার্চের অনুমতি দিয়েছেঅন্যদিকে কর্মসূচি সফল করতে বাধা দিচ্ছে। এভাবে সরকার দ্বিমুখী আচরণ করছে। আর এটাকেই বলে মুনাফেকি।” শুক্রবার বিকেলে লালবাগের পোস্তা শাহী মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামীর নেতারা এ কথা বলেন।
সংগঠনের সদস্য-সচিব জোনায়েদ বাবুনগরী বলেনঘাদানিকসহ নাস্তিক্যবাদীদের দালাল কিছু সংগঠন লংমার্চ ঠেকাতে হরতাল দিয়েছে। সরকার তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেনসরকার মুনাফেকির পরিচয় দিয়েছে। আমাদের কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়ে আবার বাধা দিচ্ছে। এরপরও লক্ষ লক্ষ জনতা কুমিল্লাগাজীপুরনরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে তৌহিদি জনতা পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছেন।
তিনি বলেনকাল (শনিবার) মতিঝিলে লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশ হবে। নবীজীর মহব্বতেনবীজীর প্রেমে তৌহিদি জনতার ঢল নেমেছে।
তিনি বলেনসরকার একদিকে হেফাজতে ইসলামকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছেঅন্যদিকে দেশব্যাপী পুলিশছাত্রলীগযুবলীগহরতাল ও প্রশাসন দিয়ে মহাসমাবেশে অংশ নিতে হেফাজতের কর্মীদের বাধা দিয়ে দ্বিমুখী আচরণ করছে। দ্বিমুখিতা মোনাফেকী ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সরকার মোনাফেক ও নাস্তিক্যবাদী।
সংগঠনটির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী সারা দেশের চিত্র তুলে ধরেন। ফেনীসিলেটসাতক্ষীরাজামালপুরসহ কয়েকটি জেলা থেকে হেফাজতের কর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জোনায়েদ বাবুনগরী বলেনদ্বিমুখিতা মোনাফেকি। আর সরকার আমাদের মহাসমাবেশ ও লংমার্চ নিয়ে নিয়ে তা-ই করেছেন। এ সরকার মোনাফেক ও নাস্তিক্যবাদীদের সহযোগী।
লংমার্চকে পণ্ড করতে হরতাল দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেনযারা হরতাল দিয়েছে তারা ইসলামবিরোধীনাস্তিক্যবাদীদের দালাল। সরকারের সমর্থনে এ দালালরা হরতাল দিয়েছে। বাংলাদেশে শুক্র ও শনিবার কোনোদিন হরতাল দেখিনি। অথচ এ দালালরা শুক্র-শনিবারে হরতাল দিয়েছে।
লংমার্চ তো মাও সে তুংয়ের রাজনৈতিক কৌশলইসলামের সঙ্গে এ বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ কি নাএক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনহেফাজতে ইসলাম চীনা নেতা মাও সে তুংয়ের রাজনৈতিক কৌশল লংমার্চ করছে না,  রাসূলের (সা.) লংমার্চ করছে। রাসূল (সা.) মক্কা থেকে মদিনাকুফায়খাইবারে লংমার্চ করেছেন। আমরা রাসূলে আদর্শেও লংমার্চ করছি।
তিনি বলেনআগামীকাল (শনিবার) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের মহাসমাবেশ ও লংমার্চ হবে। সারা দেশ থেকে এ সমাবেশে লাখ লাখ নবীপ্রেমী তৌহিদি জনতা অংশ নেবেন।
তিনি বলেনকুমিল্লাব্রাক্ষ¥ণবাড়িয়াফেনীভোলাচট্টগ্রামবরিশালসহ সারা দেশে পুলিশছাত্রলীগযুবলীগআওয়ামী লীগপ্রশাসনসরকারি দলীয় নেতাকর্মীরা বাধা দিচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী হাছান মাহমুদশাজাহান খান লংমার্চে অংশ নিতে আসা ব্যক্তিদের বাধা দিয়েছে। সরকারি দলের লোকেরা দাড়ি-টুপি দেখে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছে। গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়েছে।
এর ফলাফল আগামী নির্বাচনে দেশের ১৪ কোটি জনতা ভোটের মাধ্যমে এ সরকারকে দেবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
জোনায়েদ বাবুনগরী বলেনআসতে না পারলে শুধু ঢাকায় নয়সারা দেশে লংমার্চ হবে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত হেফাজত ইসলাম ও তৌহিদি জনতা লংমার্চ চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেনশাহবাগীরা শয়তানি কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে বিনা অনুমতিতে প্রায় দুই মাস ধরে শাহবাগে অবস্থান করতে পেরেছে। আর আমরা তৌহিদি জনতা শুধু দুই মাস নয়বছরের পর বছর অবস্থান চালিয়ে যাব।
তিনি অভিযোগ করেনমহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা হেফাজতের কর্মীদের সারা দেশে সরকার বাধা দিচ্ছে। দাড়ি-টুপি দেখলে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। মারধর করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরকারকে সব ধরনের বাধা তুলে নিয়ে হেফাজতে ইসলামের শনিবারের মহাসমাবেশ ও লংমার্চ সফল করতে সরকারকে আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ বাবুনগরী বলেনমেহের বানী করে আমাদের বাধা দেবেন না। হরতাল প্রত্যাহার করুন। বাধা দিলে আমরা টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আনোয়ার শাহনেজামে ইসলামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুল রকিববেফাক সভাপতি মাওলানা আবদুল গাফফারহেফাজতের কেন্দ্রীয় যুদ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ তাজুল ইসলামইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবদুল করিম ও হেফাজতে ইসলামী ঢাকা মহানহর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মনজুর ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবারের মহাসমাবেশ ও লংমার্চের ওপর পরবর্তী কর্মসূচি নির্ভর করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়




হেফাজতে ইসলামের গাড়িবহরে হামলা



কুমিল্লা: কুমিল্লার জাগুরঝুলি বিশ্বরোড এলাকায় হেফাজতে ইসলামের গাড়িবহরে হামলা করে আটটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে মহাসড়কে হেফাজত কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম ও ফেনী নোয়াখালীর হেফাজতের কর্মীরা কুমিল্লা অতিক্রম করছে।
আছরের নামাজের পর চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে আগত ঢাকাগামী হেফাজত কর্মীদের অভ্যর্থনা জানাতে পদুয়ার বাজারে সমবেত হয়েছেন সহস্রাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। তারা সেখানে হেফাজত কর্মীদের পানি
ওষুধ  ও স্যালাইন সরবরাহ করছেন।
সকালে কুমিল্লা থেকে গাড়ি বাতিল করায় হাজার হাজার হেফাজত কর্মী পায়ে হেঁটে ঢাকায় রওয়ানা হন। প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মহাসড়কের সেনানিবাস ও নাজিরা বাজার এলাকায় পৌঁছার পর তারা ঢাকাগামী ট্রাক ও পিক আপ ভ্যানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এর আগে পদুয়ার বাজারে এক সমাবেশে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় যাওয়ার ঘোষণা দেন হেফাজত ইসলামের কুমিল্লা জেলা সভাপতি আল্লামা নুরুল হক।


চট্টগ্রামকে অচলের হুমকি
সন্ধ্যার মধ্যে গাড়ি না পেলে চট্টগ্রামকে অচলের হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ চত্বরে তিনি এ আলটিমেটাম দেন। এসময় চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ থেকে গরিবুল্লাহ শাহ মাজার হয়ে জিইসি মোড় পর্যন্ত সড়কে দুপাশ হাজার হাজার মানুষ অবরোধ করে রাখে। সড়কে বসে তারা জিকির ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকেদুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সড়কে অবস্থানরত হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকারীরা ওয়াসার মোড়ে পুলিশকে লক্ষ করে জুতাবোতল ও ডাবের খোসা নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে একজন পুলিশ আহত হয়েছে। তাকে দামপারা পুলিম হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের নাম জানা জায়নি।
সিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমদ নতুন বার্তা ডটকমকে বলেনআমরা কাউকে বাধা দিচ্ছি না। তারা গাড়ির সংকটের কারণে যেতে পারছে না। গাড়ির বিষয়টি সম্পর্কে আমার বিস্তারিত কিছু জানা নেই।
আলটিমেটামে তিনি বলেনঅনেক হয়েছে। আর সহ্য করা যাবে না। স্পষ্ট বলে দিতে চাই দুপুর আড়াইটার মধ্যে লংমার্চে যাওয়ার গাড়ি চলতে না দিলে সারাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। তৌহিদি জনতার এ আন্দোলন দমিয়ে রাখবে এমন সাধ্য কারো নেই।
সরকারের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেনএ সরকার নাস্তিকের দালাল। এ দেশের মানুষ এ দালালের বিচার করবে। অবিলম্বে ঢাকা যাওয়ার জন্য গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিননয়তো দুর্বার আন্দোলন চলবে।

নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবিতে হেফাজতে ইসলামের ঢাকামুখী লংমার্চে বাধা দেয়ায় চট্টগ্রামের জিইসি থেকে ওয়াসা মোড় পর্যন্ত প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে হেফাজত কর্মীরা। আর এক্ষেত্রে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে পুলিশ।

শুক্রবার জুমার নামাজের আগে থেকে হেফাজত কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে রাখলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবরোধের ব্যাপ্তিও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে নগরীর লালখান বাজার মোড় থেকে ওয়াসা মোড়দামপাড়া পুলিশ লাইনগরীবুল্লাহ শাহ মাজার হয়ে জিইসি মোড় পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হেফাজত ইসলামের কর্মীরা। এই সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে।

বিকেল সাড়ে ৪টার সময় কোতোয়ালী জোনের টহল পরিদর্শক (টিআই) হারুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দামপাড়া পুলিশ লাইনের সামনের সড়কে রোড ডিভাইডারের খুঁটি ফেলে পুরো সড়ক অবরোধ করে দেয়। এতে পুরো সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এমনকি কিছু গাড়ি ওই সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে হেফাজত কর্মীরা পুলিশের সামনেই তাদের লাঠিচার্জ করে তাড়িয়ে দেয়। এসময় পুলিশকে নীরব ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিআই হারুণ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মীর্জা সায়েম মাহমুদ বাংলামেইলকে বলেনহেফাজতের সড়ক অবরোধের কারণে যাতে জনগণের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

সড়ক অবরোধের কারণে পুরো চট্টগ্রাম অচল হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরইপিজেডবন্দরকাস্টমসআগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি অংশের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে নগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বাংলামেইলকে বলেনআমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সার্বিক অবস্থা বুঝে উপরের নির্দেশে পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।



হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ দখলের ঘোষণা 
হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ দখলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে প্রেসক্লাবের সামনে হরতাল সমর্থকদের সমাবেশ থেকে।
শুক্রবার বিকেলে সমাবেশে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেনহরতালে আমরা নিরস্ত্র থাকবো নাআমরাও প্রস্তুত থাকবো। আমরা মিছিল নিয়ে যাব এবং হেফাজতের মঞ্চ দখল করবো। হরতাল সমর্থকদের লাঠিসোঠা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।
সমাবেশ থেকে কোনো ধরনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড না করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়। গাড়িতে অগ্নিসংযোগদোকানপাট ভাঙচুর না করার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করা হলে সেগুলো জামায়াত-শিবির ঘটাবে বলে জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছে হরতালকারীদের মশাল মিছিলটি। এর ফলে প্রেসক্লাবের উভয় পাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছটায় ২৪ ঘণ্টার হরতাল শুরুর পর এখান থেকে মশাল মিছিল নিয়ে বের হয়েছে। মিছিলটি হাইকোর্ট মোড়তোপখানা রোডপল্টন মোড় হয়ে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নিয়েছে।
হরতালহরতাল স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে মশাল মিছিল।
হরতাল আহবানকারী একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এ হরতালে সমর্থন ও সংহতি জানানো ২৭টি সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মিছিলে যোগ দিয়েছেন। আছেন সাংগঠনিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের ব্লগাররাজধানীর বিভিন্ন থিয়েটার ও কবিতা সংগঠন।
এসেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনওয়ার্কার্স পার্টিসিপিবিবাসদযুব মৈত্রীছাত্র মৈত্রীকাজী আরেফ ফাউন্ডেশনজাতীয় গণতান্ত্রিক লীগজাতীয় কবিতা পরিষদ. লোকসংগীত পরিষদ।
গোটা এলাকা প্রকম্পিত হচ্ছে স্লোগানে স্লোগানে। পরিবেশন হচ্ছে গণসঙ্গীত।
মিছিলে যোগ দিয়েছেন মুনতাসির মামুনরামেন্দু মজুমদারনাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকাজী মুকুলহাসান আরিফফকির আলমগীর প্রমুখ বিশিষ্টজন।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে ও হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ ঠেকানোর প্রত্যয়ে মূল মিছিলটি শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে বের হয়।  
মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে তোপখানা রোডপুরানা পল্টন মোড় হয়ে ফের প্রেসক্লাবের সামনে ফিরে আসে।  এখন চলছে মশাল মিছিল।



সূত্র- নতুন বার্তা। বাংলানিউজ। বাংলামেইল ।

Popular posts from this blog

মার্চ ২০১৪

বিশ্বসেরা আদর্শ বালক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ নিত্য দিনরাতের হয় আনাগোনা। বনের সুরভি ফুলে মুখরিত হয় চিত্ত আল্পনা। আঁধার লুকোয় , আলোর আগমন ঘটে। ফুল ফোটে। নদী উদ্বেলিত হয় প্রবহমান স্রোতে ; হৃদয় আকৃষ্ট হয় তার মনোমুগ্ধকর কলকল প্রতিধ্বনিতে। পাখি গান করে। পর্বত চিরে ঝরনা ঝরে। চিত্রক প্রকৃতির চিত্র আঁকে। কবি রচনা করে কবিতা Ñ এ সবই হলো পৃথিবীর নিয়মিত বিধান। আর এ বিধান থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে শিখছি। তাইতো অবলীলায় কবির ভাষায় বলতে পারি , ‘ পৃথিবীটা হলো শিক্ষাঙ্গন ’ । শিক্ষার এ ধারায়ই কোনো মহামনীষীর উত্তম আদর্শ অনুসরণ করে মানুষ হতে পারে আদর্শবান , আপন জীবন গড়তে পারে উজ্জ্বলময় এক অতুলনীয় জীবনে , বাল্যে হতে পারে একজন সেরাদশ আদর্শ বালক , আর নৈতিকতায় এক গরিষ্ঠ নৈতিক , কর্মজীবনে পদার্পণ করে হতে পারে সমাজের যোগ্যনেতা এবং শিষ্টাচারে আদর্শ শিষ্টাচারক।

মুফতী আমিনী রহ. স্মরণ সংখ্যা-২০১৩

মুফতি আমিনী- ভাঙা ভাঙা স্বরে সোনা ঝরানো কথা আর শুনবো না! - ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী এক. মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এখন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। বুঝি নি , এতো তাড়াতাড়ি .. এতো অসময়ে .. এতো দুঃসময়ে হঠাৎ করে তিনি চলে যাবেন! সেদিন রাতে এতোটা ‘ ঘুম-কাতুরে ’ না হলেও পারতাম! গভীর রাতে অনেক ফোন এসেছে , ধরতে পারি নি! সময় মতো তাঁর মৃত্যু সংবাদটা জানতে পারি নি! ফজরে উঠে দেখি ; অনেক মিসকল। সাথে একটা ‘ মোবাইলবার্তা ’ Ñ ‘ মুফতি আমিনী আর নেই ’ ! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!! শোক-বিহ্বলতায় আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম! শোকস্তব্ধ এতিমের মতো হাহাকার করতে লাগলো ‘ এতিম ’ মনটা! তাঁকে এভাবে হঠাৎ করে হারানোর শোক অনেক বড় শোক! কেননা , এ শোক প্রিয় উস্তায হারানোর শোক!

ইন্তেকাল

চলে গেলেন নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক মনীষী   মুহাদ্দিস আল্লামা   নুরুল ইসলাম জদীদ (রহ.) হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর একে একে আমাদের মুরব্বীগণ বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন। গত পাঁচ-ছয় বছরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন জাতির অকৃত্রিম অভিভাবক ,   জাতীয় খতিব মাওলানা ওবাইদুল হক রহ. ,   খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম (রহ.) ,   সাবেক এমপি মাওলানা আতাউর রহমান খান ,   মুফতিয়ে আযম মাওলানা আহমদুল হক (রহ.) ,   পীরে কামিল মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরী (রহ.) ,   কুতুবে যামান মাওলানা মুফতি আজিজুল হক (রহ.) এর সুযোগ্য খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম (কদিম সাহেব হুজুর) (রহ.) ,   প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আইয়ুব (রহ.) ,   শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক (রহ.) এর মতো বরেণ্য ওলামা-মশায়েখ।