Skip to main content

রংধনু

বিপদে চারবার প্রশংসা

ইসলামের ইতিহাসে যে কজন কাজী কিংবা বিচারপতি অমর হয়ে আছেন তাদের মেধা ও যোগ্যতার আলোয়- তাদের অন্যতম একজন কাজী শুরাইহ। জীবনের চলার পথে বিপদ-আপদ এলে তিনি আল¬াহ পাকের কাছে চারবার শুকরিয়া আদায় করতেন। কিন্তু কেনবিপদেও কি মানুষ আল¬াহ পাকের প্রশংসা করেতাও চারবার?


তিনি বলতেনযে বিপদে তিনি আমাকে ফেলেছেনআমি তার প্রশংসা করিকারণ তিনি চাইলে তো এর চেয়েও বড় ও কঠিন বিপদে আমাকে আটকে দিতে পারতেনকিন্তু তিনি তা করেননি। তাই আল¬াহর জন্য প্রথমবার প্রশংসা।
আমাকে সামান্য আপদ-বিপদ দিয়েও তিনি আবার আমাকে ধৈর্য ধরার শক্তি ও সাহস দিয়েছেনএটুকু শক্তি না থাকলে আমি তো দিশেহারা হয়ে যেতাম। ২য় বারের মতো প্রশংসা আল¬াহরতিনি ঐ ধৈর্য ধরার শক্তি ছিনিয়ে নেননি।
শুধু কি ধৈর্য! আমি এ দুনিয়ায় লিপ্ত প্রতিটি বিপদের বিনিময়ে তার কাছে অসীম পূণ্যের আশায় হাত পেতে বসে থাকি। আমি বারবার তার পানেই চেয়ে থাকি। তিনিই তো আমার উদ্ধারকারী। জটিল বিপদেও তিনি আমায় এটুকু প্রশান্তি দিয়েছেন। ৩য় বারের প্রশংসাও তো সেই দয়াময়ের জন্য।
চতুর্থবারের মতো আমি তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। তিনি তো চাইলে এ দুনিয়ায় আমাকে বিপদটুকু না দিয়ে আখেরাতে আটকাতে পারতেনদুনিয়ার কায়-কারবারে এটুকু মুসিবত না দিয়ে তিনি আমার নেক-আমলের জগতে কোন কঠিন ফেতনায় আক্রান্ত করতে পারতেন- কি অপরিসীম করুণা তার! তিনি তা করেননি। নইলে তো আমার দ্বীন-দুনিয়া সব শেষ হয়ে যেতো।
আমি তাই এমন মহান রবেরই প্রশংসা করি। যে কোন সামান্যও আপদ-বিপদেও তার প্রশংসা করিকমপক্ষে চারবার। লাকাল হামদু ইয়া মাওলায়াইয়া যাল জালাল।

Popular posts from this blog

মার্চ ২০১৪

বিশ্বসেরা আদর্শ বালক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ নিত্য দিনরাতের হয় আনাগোনা। বনের সুরভি ফুলে মুখরিত হয় চিত্ত আল্পনা। আঁধার লুকোয় , আলোর আগমন ঘটে। ফুল ফোটে। নদী উদ্বেলিত হয় প্রবহমান স্রোতে ; হৃদয় আকৃষ্ট হয় তার মনোমুগ্ধকর কলকল প্রতিধ্বনিতে। পাখি গান করে। পর্বত চিরে ঝরনা ঝরে। চিত্রক প্রকৃতির চিত্র আঁকে। কবি রচনা করে কবিতা Ñ এ সবই হলো পৃথিবীর নিয়মিত বিধান। আর এ বিধান থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে শিখছি। তাইতো অবলীলায় কবির ভাষায় বলতে পারি , ‘ পৃথিবীটা হলো শিক্ষাঙ্গন ’ । শিক্ষার এ ধারায়ই কোনো মহামনীষীর উত্তম আদর্শ অনুসরণ করে মানুষ হতে পারে আদর্শবান , আপন জীবন গড়তে পারে উজ্জ্বলময় এক অতুলনীয় জীবনে , বাল্যে হতে পারে একজন সেরাদশ আদর্শ বালক , আর নৈতিকতায় এক গরিষ্ঠ নৈতিক , কর্মজীবনে পদার্পণ করে হতে পারে সমাজের যোগ্যনেতা এবং শিষ্টাচারে আদর্শ শিষ্টাচারক।

মুফতী আমিনী রহ. স্মরণ সংখ্যা-২০১৩

মুফতি আমিনী- ভাঙা ভাঙা স্বরে সোনা ঝরানো কথা আর শুনবো না! - ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী এক. মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এখন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। বুঝি নি , এতো তাড়াতাড়ি .. এতো অসময়ে .. এতো দুঃসময়ে হঠাৎ করে তিনি চলে যাবেন! সেদিন রাতে এতোটা ‘ ঘুম-কাতুরে ’ না হলেও পারতাম! গভীর রাতে অনেক ফোন এসেছে , ধরতে পারি নি! সময় মতো তাঁর মৃত্যু সংবাদটা জানতে পারি নি! ফজরে উঠে দেখি ; অনেক মিসকল। সাথে একটা ‘ মোবাইলবার্তা ’ Ñ ‘ মুফতি আমিনী আর নেই ’ ! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!! শোক-বিহ্বলতায় আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম! শোকস্তব্ধ এতিমের মতো হাহাকার করতে লাগলো ‘ এতিম ’ মনটা! তাঁকে এভাবে হঠাৎ করে হারানোর শোক অনেক বড় শোক! কেননা , এ শোক প্রিয় উস্তায হারানোর শোক!

ইন্তেকাল

চলে গেলেন নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক মনীষী   মুহাদ্দিস আল্লামা   নুরুল ইসলাম জদীদ (রহ.) হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর একে একে আমাদের মুরব্বীগণ বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন। গত পাঁচ-ছয় বছরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন জাতির অকৃত্রিম অভিভাবক ,   জাতীয় খতিব মাওলানা ওবাইদুল হক রহ. ,   খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম (রহ.) ,   সাবেক এমপি মাওলানা আতাউর রহমান খান ,   মুফতিয়ে আযম মাওলানা আহমদুল হক (রহ.) ,   পীরে কামিল মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরী (রহ.) ,   কুতুবে যামান মাওলানা মুফতি আজিজুল হক (রহ.) এর সুযোগ্য খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম (কদিম সাহেব হুজুর) (রহ.) ,   প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আইয়ুব (রহ.) ,   শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক (রহ.) এর মতো বরেণ্য ওলামা-মশায়েখ।