হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ- খবর সংকলন
গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার দাবি
শনিবার সন্ধ্যার আগেই শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজত
নেতারা। অনুষ্ঠান পরিচালনাকালে হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এ দাবি
জানান।
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে তা ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এখানে আসিনি। সরকার আমাদের দাবিগুলো পূরণ করলে আমরা কোনো কর্মসূচি দেব না।”
গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে তা ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এখানে আসিনি। সরকার আমাদের দাবিগুলো পূরণ করলে আমরা কোনো কর্মসূচি দেব না।”
‘নাস্তিক’ ব্লগারদের প্রতি
বিষোদগার করলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
উত্তরায় হেফাজতে ইসলামের লংমার্চকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের প্রতি
বিষোদগার করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এসময় তিনি ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দেন।
শনিবার সকালে উত্তরায় তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমানের এ দেশে নাস্তিক ব্লগারদের কোনো স্থান নেই।’
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আসতে থাকা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের পানি সরবরাহ করছে জাতীয় পার্টি। রাস্তার মোড়ে এবং শাপলা চত্বরে পানি পানের ব্যবস্থা করেছে তারা।
শনিবার সকালে উত্তরায় তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মোসলমানের এ দেশে নাস্তিক ব্লগারদের কোনো স্থান নেই।’
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আসতে থাকা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের পানি সরবরাহ করছে জাতীয় পার্টি। রাস্তার মোড়ে এবং শাপলা চত্বরে পানি পানের ব্যবস্থা করেছে তারা।
ছুটির দিনেও সচিবালয়ে অফিস করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সচিবালয়ে অফিস করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মহীউদ্দীন খান আলমগীর। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে যান। এ
সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি ঘিরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে মন্ত্রী অফিস করছেন। তার আজ গাজীপুরে যাওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তবে তা বাতিল করেন।
কর্মকর্তারা জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি ঘিরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে মন্ত্রী অফিস করছেন। তার আজ গাজীপুরে যাওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তবে তা বাতিল করেন।
অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়ন
‘নাস্তিক ব্লগারদের’ ফাঁসিসহ ১৩ দফা দাবিতে হেফাজতে
ইসলামের লংমার্চ নিয়ে হাজার হাজার জনতা পায়ে হেঁটে মতিঝিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর
রাস্তার দু’পাশে শত শত নারী-পুরুষ দাঁড়িয়ে
থেকে পানি, কলা, রুটি দিয়ে লংমার্চে
অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়ন করছেন।শনিবার দুপুর ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী-ডেমরা-সাইনবোর্ড ও শ্যামপুর এলাকায় গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী দিয়ে হাজার হাজার মানুষ রাতে মতিঝিলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সবার হাতে নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন। আর মুখে স্লোগান ‘নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাই’।
প্রচণ্ড রোদ আর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির হরতালকে উপেক্ষা করে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মীর মিছিল যেন ঢাকাকে সাদা পাঞ্জাবি আর টুপির শহরে পরিণত করেছে।
পায়ে হেঁটে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, বি বাড়ীয়া, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কাঁচপুর,সোনারগাঁ থেকে হাজার হাজার মুসল্লি আসছে ঢাকার দিকে।
এ সময় রাস্তায় দু’পাশে দাঁড়িয়ে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের পানি সরবরাহ করতে দেখা গেছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের।
অনেক গৃহিনীকে তাদের রান্না করা খাবার আর পানি তাদের ছোট বাচ্চাকে দিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমদের হাতে তুলে দেয়ার দৃশ্যও চোখে পড়ে।
অনেকে আবার লেবুর শরবতের দোকানদারকে সারাদিনের জন্য ভাড়া নিয়ে আলেমদের শরবত খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেছেন।
লংমার্চে অংশ নেয়া আলেমদের পানি খাওয়ানো শ্যামপুরের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ (৪০) নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমি সামান্য একটি চাকরি করি। বেতন কম। আমার টাকা পয়সা নাই। তাই ৫০০ টাকা দিয়ে আলেমদের পানি খাওয়ানো ব্যবস্থা করেছি। সামর্থ্য থাকলে দুপুরের খাবারেরও ব্যবস্থাও করতাম।”
দনিয়া কলেজের সামনে ছোট মেয়েকে দিয়ে আলেমদের হাতে পানির বোতল তুলে দিচ্ছিলেন এক মহিলা। তিনি জানান, “ আমি একজন মুসলমান। আমার বাসার সামনে দিয়ে সারারাত মানুষ হেঁটে যাচ্ছে। এটা দেখে আমি বাসায় বসে থাকতে পারিনি। তাই আমি, আমার স্বামী ও বাচ্চারা মিলে আলেমদের জন্য সামান্য পানি ও কলা-রুটির ব্যবস্থা করেছি।”
সোনারগাঁ থেকে হেঁটে আসা মাওলানা মনিরুজ্জামান দেওবন্দী নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমার হেঁটে আসার কোনো দুঃখ নেই। এদেশের মানুষ যে কতো ধার্মিক তা আজকের লংমার্চে এসে আমি বুঝলাম। রাসূল (সা.) এর সম্মানে এদেশের মানুষ যে জীবন দিতেও প্রস্তুত তা আজকের লংমার্চে না আসলে বুঝতেই পারতাম না।”
একথা বলেই কেঁদে দেন তিনি। পাশে পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট শিশুটিকে দোয়া করে আবার মতিঝিলের দিকে রওনা হোন মাওলানা মনিরুজ্জামান।
বেনজীর আহমেদকে লক্ষ্য করে বোতল
হেফাজতের সমাবেশ থেকে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার
চেষ্টা করলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার দুপুরে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়া হয়। পরে সমাবেশের মূল মঞ্চ থেকে কয়েকজন নেতা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে হেফাজতের সমাবেশে থাকা কয়েক শ’ লোক ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে ডিএমপি কমিশনার সেখানে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন তারা।
খবর পেয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতারা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়া হয়। পরে সমাবেশের মূল মঞ্চ থেকে কয়েকজন নেতা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে হেফাজতের সমাবেশে থাকা কয়েক শ’ লোক ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে ডিএমপি কমিশনার সেখানে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন তারা।
খবর পেয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতারা প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে নানা ধরনের খাবার
হেফাজতে
ইসলামের নেতাকর্মীদের রাজধানীর ২৪টি পয়েন্টে বিএনপির পক্ষ থেকে নানা ধরনের খাবারসহ
স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে।
শনিবার বেলা ১১টায় পল্টন বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবারের মধ্যে রয়েছে- কলা, পাউরুটি, আপেল, পানি, গাঁজর, শশা, কেক, বিস্কুট। এছাড়া ওষুধ বিতরণ ও করা হচ্ছে।
শান্তিনগর, কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলামোড়, মির্জা আব্বাসের বাড়ি মোড়, আরামবাড় মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, প্রেসক্লাব, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ইত্তেফাক মোড়, নবাবপুর, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, বঙ্গভবন এলাকা, পীরজঙ্গি মাজার এলাকাসহ ২৪টি পয়েন্টে এসব খাবার ও ওষুধ বিতরণ চলছে।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) তত্ত্বাবধানে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ টিম হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ খাবার, পানির বোতল ও ওষুধ সরবরাহ করছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে দলের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার বেলা ১১টায় পল্টন বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
খাবারের মধ্যে রয়েছে- কলা, পাউরুটি, আপেল, পানি, গাঁজর, শশা, কেক, বিস্কুট। এছাড়া ওষুধ বিতরণ ও করা হচ্ছে।
শান্তিনগর, কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলামোড়, মির্জা আব্বাসের বাড়ি মোড়, আরামবাড় মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, প্রেসক্লাব, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ইত্তেফাক মোড়, নবাবপুর, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তান, বঙ্গভবন এলাকা, পীরজঙ্গি মাজার এলাকাসহ ২৪টি পয়েন্টে এসব খাবার ও ওষুধ বিতরণ চলছে।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) তত্ত্বাবধানে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ টিম হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ খাবার, পানির বোতল ও ওষুধ সরবরাহ করছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে দলের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সেলুনে আশ্রয় শাহরিয়ার কবির
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির হেফাজতে ইসলামের
ডাকা লংমার্চ কর্মসুচিতে যোগ দেয়া মুসল্লির আক্রমণের মুখে সেলুনে আশ্রয় নিয়ে
নিজেকে রক্ষা করলেন।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহাখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মতিঝিলে লংমার্চে অংশগ্রহনকারী আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল।
এক পর্যায় হেফাজতে ইসলামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা পাশেরে চুল কাটার একটি সেলুনে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর হেফাজতের লোকজন অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করে। তবে শাহরিয়ার কবির এবং মুনতাসির মামুন সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “আমিই ছিলাম হামলাকারীদের টার্গেট। হামলার ধরণ দেখে বুঝেছি, তাদের এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় হঠাৎ তারা উত্তেজিত হয়ে সমাবেশে হামলা চালায় ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের লোকজন আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যতক্ষণ তারা হামলা চালায়, আমার দিকেই তাদের নজর ছিল। আর আমাকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “শুক্রবারও আমাকে মোবাইলফোনে কয়েকজন হুমকি দেয়। আজ (শনিবার) সকালে হামলাকারীরা আমাকে দেখামাত্র ইটপাটকেল, পানির বোতল ছুড়ে মারে।”
মুনতাসীর মামুন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেন, “হামলার সময় পুলিশ নীরব ছিল। তারা ব্যবস্থা নিলে এমন হতো না। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারা হামলা চালিয়েছে।”
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, “সমাবেশ চলাকালে হেফাজতের মিছিল যাচ্ছিল, এ সময় সমাবেশ বিরোধী বক্তব্য শুনে হেফাজতের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।”
হামলা শেষে হেফাজতের সদস্যরা মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় স্লোগান দিতে থাকে। নির্মূল কমিটি ও আওয়ামী লীগের ব্যানার ছিঁড়ে নেয় তারা।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন এলাকা ত্যাগ করেন। মিছিল এলে পুলিশ নির্মূল কমিটির সমাবেশস্থল ঘিরে দাঁড়ায়। পরে মিছিল সহ হেফাজতে ইসলাম স্থান ত্যাগ করে মতিঝিলের দিকে চলে যায়।
শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মহাখালীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মতিঝিলে লংমার্চে অংশগ্রহনকারী আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল।
এক পর্যায় হেফাজতে ইসলামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা পাশেরে চুল কাটার একটি সেলুনে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর হেফাজতের লোকজন অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করে। তবে শাহরিয়ার কবির এবং মুনতাসির মামুন সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “আমিই ছিলাম হামলাকারীদের টার্গেট। হামলার ধরণ দেখে বুঝেছি, তাদের এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”
গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয় হঠাৎ তারা উত্তেজিত হয়ে সমাবেশে হামলা চালায় ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, “পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের লোকজন আমাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যতক্ষণ তারা হামলা চালায়, আমার দিকেই তাদের নজর ছিল। আর আমাকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, “শুক্রবারও আমাকে মোবাইলফোনে কয়েকজন হুমকি দেয়। আজ (শনিবার) সকালে হামলাকারীরা আমাকে দেখামাত্র ইটপাটকেল, পানির বোতল ছুড়ে মারে।”
মুনতাসীর মামুন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বলেন, “হামলার সময় পুলিশ নীরব ছিল। তারা ব্যবস্থা নিলে এমন হতো না। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তারা হামলা চালিয়েছে।”
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, “সমাবেশ চলাকালে হেফাজতের মিছিল যাচ্ছিল, এ সময় সমাবেশ বিরোধী বক্তব্য শুনে হেফাজতের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কজন উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।”
হামলা শেষে হেফাজতের সদস্যরা মহাখালী কাঁচাবাজার এলাকায় স্লোগান দিতে থাকে। নির্মূল কমিটি ও আওয়ামী লীগের ব্যানার ছিঁড়ে নেয় তারা।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসীর মামুন এলাকা ত্যাগ করেন। মিছিল এলে পুলিশ নির্মূল কমিটির সমাবেশস্থল ঘিরে দাঁড়ায়। পরে মিছিল সহ হেফাজতে ইসলাম স্থান ত্যাগ করে মতিঝিলের দিকে চলে যায়।
সূত্র- বাংলামেইল, নতুন বার্তা, বাংলানিউজ