Skip to main content

রংধনু

এ লোক মক্কার শ্রেষ্ঠতম ফক্বীহ

উমাইয়া বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান। তার শাসনামলে হজ্বের মৌসুমে মক্কার কাবা শরীফে সমবেত মুসলমানদেরকে জানিয়ে দেয়া হতো - আতা ইবনে আবি রাবাহ ছাড়া এ মক্কায় অন্য কারো ফতওয়া দেয়ার অধিকার নেই। যে কোন মাসআলা কিংবা প্রয়োজনে কেবল তাকেই জিজ্ঞেস করা যাবে। কারণ আতা ইবনে আবি রাবাহ মক্কাবাসীর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য আলেমফক্বীহ এবং শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী।
এতবড় একজন ইমাম এবং আলেম- স্বয়ং মুসলিম জাহানের খলিফার পক্ষ থেকে যাকে যোগ্যতম হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে- কেমন দেখাতো তাকে?
গায়ের রং কুচকুচে কালোহাঁটাচলায় খোঁড়াচেহারায় এক চোখ কানাখাঁদা নাকশরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্তমাথায় কোঁকড়ানো ঘনচুল- তাকিয়ে থাকার মতো মোটেও কিছু নেই তার অবয়বে। তার সামনে যখন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ছাত্ররা সাদা কাপড় পরে বসে থাকতোতখন ঐ মজলিসের দিকে তাকালে মনে হতো- যেন সাদা ধবধবে তুলার স্তুপে একটি কালো কাক বসে আছে।
কিন্তু কোন সে ধর্ম! কোন সে যোগ্যতা- যা তার মতো এমন ক্ষুদ্রঅবয়বের মানুষটিকে মক্কার শ্রেষ্ঠতম আলেম ও ফক্বীহ হওয়ার গৌরব দিয়ে ভূষিত করেছে! ইসলাম এবং ইলম। আর কিছু নয়।
বর্ণবৈষম্যজাতি ও রাষ্ট্রের বিভক্তিগোষ্ঠিগত দ্বন্দ আর স্বজনপ্রীতিতে ভরা আজকের কলুষিত সভ্যতার সামনে ইসলামের উদারতা এবং মানবিকতার সামান্য একটি নমুনা আতা ইবনে আবি রাবাহ।

Popular posts from this blog

মার্চ ২০১৪

বিশ্বসেরা আদর্শ বালক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ নিত্য দিনরাতের হয় আনাগোনা। বনের সুরভি ফুলে মুখরিত হয় চিত্ত আল্পনা। আঁধার লুকোয় , আলোর আগমন ঘটে। ফুল ফোটে। নদী উদ্বেলিত হয় প্রবহমান স্রোতে ; হৃদয় আকৃষ্ট হয় তার মনোমুগ্ধকর কলকল প্রতিধ্বনিতে। পাখি গান করে। পর্বত চিরে ঝরনা ঝরে। চিত্রক প্রকৃতির চিত্র আঁকে। কবি রচনা করে কবিতা Ñ এ সবই হলো পৃথিবীর নিয়মিত বিধান। আর এ বিধান থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে শিখছি। তাইতো অবলীলায় কবির ভাষায় বলতে পারি , ‘ পৃথিবীটা হলো শিক্ষাঙ্গন ’ । শিক্ষার এ ধারায়ই কোনো মহামনীষীর উত্তম আদর্শ অনুসরণ করে মানুষ হতে পারে আদর্শবান , আপন জীবন গড়তে পারে উজ্জ্বলময় এক অতুলনীয় জীবনে , বাল্যে হতে পারে একজন সেরাদশ আদর্শ বালক , আর নৈতিকতায় এক গরিষ্ঠ নৈতিক , কর্মজীবনে পদার্পণ করে হতে পারে সমাজের যোগ্যনেতা এবং শিষ্টাচারে আদর্শ শিষ্টাচারক।

মুফতী আমিনী রহ. স্মরণ সংখ্যা-২০১৩

মুফতি আমিনী- ভাঙা ভাঙা স্বরে সোনা ঝরানো কথা আর শুনবো না! - ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী এক. মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এখন রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। বুঝি নি , এতো তাড়াতাড়ি .. এতো অসময়ে .. এতো দুঃসময়ে হঠাৎ করে তিনি চলে যাবেন! সেদিন রাতে এতোটা ‘ ঘুম-কাতুরে ’ না হলেও পারতাম! গভীর রাতে অনেক ফোন এসেছে , ধরতে পারি নি! সময় মতো তাঁর মৃত্যু সংবাদটা জানতে পারি নি! ফজরে উঠে দেখি ; অনেক মিসকল। সাথে একটা ‘ মোবাইলবার্তা ’ Ñ ‘ মুফতি আমিনী আর নেই ’ ! ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!! শোক-বিহ্বলতায় আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম! শোকস্তব্ধ এতিমের মতো হাহাকার করতে লাগলো ‘ এতিম ’ মনটা! তাঁকে এভাবে হঠাৎ করে হারানোর শোক অনেক বড় শোক! কেননা , এ শোক প্রিয় উস্তায হারানোর শোক!

ইন্তেকাল

চলে গেলেন নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক মনীষী   মুহাদ্দিস আল্লামা   নুরুল ইসলাম জদীদ (রহ.) হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর একে একে আমাদের মুরব্বীগণ বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন। গত পাঁচ-ছয় বছরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন জাতির অকৃত্রিম অভিভাবক ,   জাতীয় খতিব মাওলানা ওবাইদুল হক রহ. ,   খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম (রহ.) ,   সাবেক এমপি মাওলানা আতাউর রহমান খান ,   মুফতিয়ে আযম মাওলানা আহমদুল হক (রহ.) ,   পীরে কামিল মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরী (রহ.) ,   কুতুবে যামান মাওলানা মুফতি আজিজুল হক (রহ.) এর সুযোগ্য খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম (কদিম সাহেব হুজুর) (রহ.) ,   প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আইয়ুব (রহ.) ,   শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক (রহ.) এর মতো বরেণ্য ওলামা-মশায়েখ।