এ লোক মক্কার শ্রেষ্ঠতম ফক্বীহ
উমাইয়া বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান। তার শাসনামলে হজ্বের মৌসুমে মক্কার কাবা শরীফে সমবেত মুসলমানদেরকে জানিয়ে দেয়া হতো - আতা ইবনে আবি রাবাহ ছাড়া এ মক্কায় অন্য কারো ফতওয়া দেয়ার অধিকার নেই। যে কোন মাসআলা কিংবা প্রয়োজনে কেবল তাকেই জিজ্ঞেস করা যাবে। কারণ আতা ইবনে আবি রাবাহ মক্কাবাসীর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য আলেম, ফক্বীহ এবং শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী।
গায়ের রং কুচকুচে কালো, হাঁটাচলায় খোঁড়া, চেহারায় এক চোখ কানা, খাঁদা নাক, শরীরের কিছু অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত, মাথায় কোঁকড়ানো ঘনচুল- তাকিয়ে থাকার মতো মোটেও কিছু নেই তার অবয়বে। তার সামনে যখন পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা ছাত্ররা সাদা কাপড় পরে বসে থাকতো, তখন ঐ মজলিসের দিকে তাকালে মনে হতো- যেন সাদা ধবধবে তুলার স্তুপে একটি কালো কাক বসে আছে।
কিন্তু কোন সে ধর্ম! কোন সে যোগ্যতা- যা তার মতো এমন ক্ষুদ্রঅবয়বের মানুষটিকে মক্কার শ্রেষ্ঠতম আলেম ও ফক্বীহ হওয়ার গৌরব দিয়ে ভূষিত করেছে! ইসলাম এবং ইলম। আর কিছু নয়।
বর্ণবৈষম্য, জাতি ও রাষ্ট্রের বিভক্তি, গোষ্ঠিগত দ্বন্দ আর স্বজনপ্রীতিতে ভরা আজকের কলুষিত সভ্যতার সামনে ইসলামের উদারতা এবং মানবিকতার সামান্য একটি নমুনা আতা ইবনে আবি রাবাহ।