Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2013

খবর

যেভাবে গ্রেফতার হন মাহমুদুর রহমান ১৩ মিনিটেই দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে পুলিশ-র্যাব ও ডিবি পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এছাড়াও মাহমুদুর রহমানের অফিস তল্লাশি করে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট , কম্পিটারের সিপিইউ ও মনিটর এবং আটটি সিডি নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা ৫৫ মিনিটে তাকে আমার দেশ পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়। আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন , “ সকাল পৌনে আটটার দিকে কয়েকশ পুলিশ-র্যা ব ও সাদা পোশাকধারী ৩০ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য দুই লিফটে আমার দেশ কার্যালয়ে নামেন। দারোয়ানকে মারধর ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ভেতরে প্রবেশ করেন। ক্যামেরা ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেন এবং সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যান। ”

সংবাদ

নতুন শক্তি সাযযাদ কাদির: দেশে আবির্ভাব ঘটেছে এক নতুন শক্তির। বিরোধে বিবাদে দ্বন্দ্বে সংঘাতে সহিংসতায় সংক্ষুব্ধ রাজনীতির আকাশে উদিত , উত্থিত হয়ে এ শক্তি এখন দেদীপ্যমান। এ উদয় আকস্মিক , অভাবনীয়। বিদ্যমান দুই পরাশক্তির কোলাহল ভেদ করে আরও এক পরাশক্তির আবির্ভাব ঘটতে পারে বলে ধারণা ছিল না কারও। কিন্তু সেই আবির্ভাব ঘটেছে সত্যি সত্যি। এ শক্তির নাম হেফাজতে ইসলাম। দেশের কোথায় কিভাবে সঞ্চিত ছিল এ শক্তি তা হয়তো অনুমান করা সম্ভব হবে না অনেকের পক্ষে। কিন্তু ছিল যে তা গতকাল এক বিশাল গণঅভ্যুদয়ের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন তারা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ , তার জোটের ১৪ দল , বামপন্থি মহল , সুশীল বুদ্ধিজীবী এবং ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মিলে এক শক্তি যখন দমন নির্যাতন শুরু করেছে অপর শক্তি বিরোধী বিএনপি , জামায়াত , তাদের জোটের ১৮ দলের ওপর তখন তৃতীয় শক্তি হিসেবে দেখা দিলো হেফাজত ইসলাম।  স্মরণকালের বৃহত্তম গণসমাবেশ , লংমার্চ , সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়ে তারা সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সরকারের প্রতি- সেই সঙ্গে বিদ্যমান অপরাজনীতির বিরুদ্ধেও। ঘুষ-দুর্নীতি , লুট , সন্ত্রাস , চাঁদাবাজি সর্বস্ব

খবর সংকলন

হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ- খবর সংকলন গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার দাবি শনিবার সন্ধ্যার আগেই শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজত নেতারা। অনুষ্ঠান পরিচালনাকালে হেফাজত নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এ দাবি জানান। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি অবিলম্বে তা ভেঙে দেয়ার দাবি জানান। সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন , “ আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এখানে আসিনি। সরকার আমাদের দাবিগুলো পূরণ করলে আমরা কোনো কর্মসূচি দেব না। ”

লংমার্চ

লংমার্চের ডাক : এক আল্লাহ জিন্দাবাদ আ ব দু ল হা ই শি ক দা র এক কাঁকর বিছানো পথ , কত বাধা , কত সমুদ্র-পর্বত। কত চক্রান্ত , কত ষড়যন্ত্র। কত মিথ্যাচার , কত অপপ্রচার। শাসকের রক্তচক্ষু। প্রলোভনের হাতছানি। বাস , ট্রেন , লঞ্চ বন্ধ। তারপরও পুলিশ , র্যাব , প্রশাসন ও সরকারের হুমকি-ধমকি , বিভ্রান্তিকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশ ও ধর্মরক্ষার জন্য মানুষ ছুটে আসছে ঢাকার দিকে। মানুষ আসছে টেকনাফের নাফ নদীর কিনার থেকে। মানুষ আসছে তেঁতুলিয়ার মহানন্দা পারের কুটির থেকে। মানুষ আসছে হাটহাজারী থেকে। সিলেট থেকে। চট্টগ্রাম থেকে। বরিশাল থেকে। খুলনা থেকে। রাজশাহী-রংপুর থেকে। জীবনমৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে , ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতি ইঞ্চি মাটি থেকে আসছে মানুষ। লাঞ্ছিত-বঞ্চিত অধিকারহারা মানুষ। মানুষ আসছে পায়ে হেঁটে। আসছে বন্যার স্রোতের মতো। আসছে কালবৈশাখী ঝড়ের মতো। কবিকণ্ঠ তাইতো উদ্বেল হয়ে ওঠে :

খবর সংকলন

xml feed হেফাজতের লংমার্চ- চারিদিকে উত্তেজনা- মঞ্চ দখলের ঘোষণা সরকার হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে মুনাফেকি আচরণ করছে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন ,  “ সরকার একদিকে আমাদের লংমার্চের অনুমতি দিয়েছে ,  অন্যদিকে কর্মসূচি সফল করতে বাধা দিচ্ছে। এভাবে সরকার দ্বিমুখী আচরণ করছে। আর এটাকেই বলে মুনাফেকি। ”  শুক্রবার বিকেলে লালবাগের পোস্তা শাহী মসজিদে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামীর নেতারা এ কথা বলেন।

সাক্ষাৎকার

বিশেষ সাক্ষাৎকারে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী জামায়াতের সহযোগী না বলে বরং আমাকে গুলি করে মেরে ফেলুন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লংমার্চ ঘিরে টানটান উত্তেজনা এখন দেশজুড়ে। এরই মধ্যে সংগঠনটির আমির ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফীর এই কর্মসূচির প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ,  ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টি ,  বিকল্প ধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যক্তি ,  দল ও সংগঠন।     হেফাজতের বহুল আলোচিত এই ঢাকামুখী লংমার্চ হবে আগামী শনিবার। সংগঠনের নেতারা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই লংমার্চ বাস্তবায়ন নিয়ে। সব কিছু ছাপিয়ে প্রায় শতবর্ষী দেশবরেণ্য আলেম ,  ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী মাদ্রাসায় মহাপরিচালকের নিজ দপ্তরে বসেই লংমার্চ বাস্তবায়নের সব কার্যক্রম তদারক করছেন আল্লামা শফী। এরই মধ্যে নিয়মমাফিক চার ঘণ্টা পবিত্র বোখারি শরিফ পড়াচ্ছেন তাঁর ছাত্রদের।   সার্বিক বিষয়ে তাঁকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরীসহ কয়েকজন আলেম।   গত মঙ্গলবার বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ন

কলাম

xml feed মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এই নয় যে সংঘাতের রাজনীতিকে উসকে দিয়ে ,  ধর্মপ্রাণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে দেশটাকে আরও অস্থির ,  অশান্ত করে তোলা লিখেছেন -   পীর হাবিবুর রহমান সরকার বিলম্বে হলেও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করে জ্বলন্ত উনুনে পানি ঢেলেছিল। তাদের শান্ত করতে , দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে স্বস্তি দিতে কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেফতারও করেছে। সরকারের তদন্তেই বেরিয়ে আসত আটকরা অপরাধী কি না। অপরাধী হলে ব্যবস্থাও নিত। একই সঙ্গে সরকার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অপরাধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন সংশোধন করে দুই বছরের জায়গায় ১০ বছর ও এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান করার ঘোষণা দিয়েছিল। এ অবস্থায় হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে শুরু ও শেষ হবে এমন ধারণাই জনমনে দেখা দিয়েছিল। হরতালের দেশ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও ছুটির দিন বিশেষ করে সূর্যাস্তের পর হরতাল শুরু না হলেও শাহরিয়ার কবির আর নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুরা শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লংমার্চ প্রতিরোধে হরতাল দিয়ে জ্বলন্ত উনুনে ঘি ঢাললেন। এ কেমন রাতের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী স্বভাবসুল

মন্তব্য

কেন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি? কিছু ব্লগারের ইসলাম ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর লেখালেখির কারণসহ বেশ কিছু দাবিতে বৃহত্তর মুসলিম এ দেশটির হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠন ৬ এপ্রিল ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছে। আর হেফাজতে ইসলামের এ লংমার্চে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে। জাতীয়পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ লংমার্চের মুসাফিরদের( ?) জন্য পানি ও শুকনা খাবার দিয়ে ঢাকায় অভর্থনা জানিয়ে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

খবর

সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার ঢাকা ঃ  হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখন থেকে সরকারি অফিসে দুই দিনের পরিবর্তে একদিন সাপ্তহিক ছুটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে শনিবার সরকারি অফিস খোলা থাকবে। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাপ্তাহিক ছুটি কেবল  শুক্রবার ভোগ করতে পারবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রংধনু

লেখক হতে চাও ? লেখালেখির জন্য প্রথম শর্ত কোনটি ?  কোনটিই নয়। এমন কোন শর্ত নেই- যা অর্জিত হলেই একজন মানুষ লেখক হয়ে যাবেন। এমন কোন ট্যাবলেট নেই- যা গিলে ফেললেই লেখা চালু হয়ে যাবে। নেই কোন কোর্স- যা সমাপ্ত করার পর আপনি লেখক হতে পারেন। চারিদিকে সবকিছুতেই অস্থিরতা। অল্পসময়ে আমরা আজ ধনী হতে চাই ,  শর্টকাট করে অনেক কিছুই পেতে চাই। এমন তাড়াহুড়োর ব্যাপারটি চলে এসেছে লেখালেখিতেও। দিনদিন আমরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছি। লেখক হওয়ার জন্য অস্থির বন্ধুদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। প্রিয় পাঠকবন্ধু ,  মনে রেখো ,  লেখক হওয়া কঠিন নয় ,  আবার হাতের মোয়াও নয়। খুব অল্প কথায় বলতে গেলে- প্রচুর পড়াশোনা ,  প্রতিদিনের চর্চা ,  অসীম ধৈর্য এবং সচেতন মানসিকতা- একজন লেখকের জন্য প্রাথমিক শর্ত অবশ্যই এর কম নয়।

রংধনু

রাসূলের বিরহবেদনায় বিষণ œ  বিলাল ইফরিত আদনান তার নাম বিলাল। গায়ের রং কালো। হাবশা থেকে গোলাম হিসেবে এসেছিলেন মক্কায়। তারপর কত ঘটনা। রাসূলের হাত ধরে তিনি এসেছিলেন এ মদীনায়। সেই মানুষটি আজ আর নেই। প্রিয়তম রবের ডাকে তিনি চলে গেলেন। বিলাল একা হয়ে গেলেন। গত কদিন ধরে তার মন ভালো নেই। তিনি অনবরত কাঁদছেন। তার বারবার মনে পড়ছে নবী মুহাম্মাদ সা. এর কথা। তার শূন্যতায় মদীনা যেন আজ প্রাণহীন নগরী। কেমন নিঝুম নিরব হয়ে আছে মদীনার আকাশ বাতাস। কোথাও চাঞ্চল্য নেই। বিলালের আবেগ ও ভালোবাসার রাজ্যে প্রতিটি ইঞ্চি ইঞ্চিতে কেবলই যে এ মানুষটির নাম। কত মধুমাখা স্মৃতি তার জড়িয়ে আছে রাসূলকে ঘিরে।

রংধনু

সাহিত্যের গুণে প্রান রক্ষা আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়ের হাজ্জাজ তাঁর প্রহরীকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন- রাতে কাউকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পেলে ওখানেই যেন তাকে শেষ করে দেয়া হয়। প্রহরীরা বাদশাহর এমন কঠিন নির্দেশ পেয়ে সন্ধ্যার পর থেকেই গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করা শুরু করলো। টহলরত অবস্থায় একদল প্রহরী কয়েক যুবককে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পেলো। তাদেরকে আটক করা হলো। প্রহরীদলের প্রধান তাদেরকে পরিচয় জিজ্ঞেস করলো-

রংধনু

বদল আমিন আশরাফ মধ্যরাত। নীরব ,  নিঝুম। অপার পদ-জনপদ ঘুমে আচ্ছন্ন। শ্রান্ত কান্তিময় প্রকৃতির রূপচর্চা চলছে বেশ আরামে-আয়েশে। তৃপ্ত শরীরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ,  বুক উদোম করে। লোকালয় ছেড়ে মাইলপাঁচেক দূরে মুখে কুলুপআটা দিগন্ত প্রসারী প্রান্তর। সহজ-সরল নিঝুম প্রান্তরের চোখে নেই ঘুম ;  ঘুমাবেই বা কী করে! বুকের ওপর দাঁড়িয়ে ভয়ংকর অট্টহাসি মেরে চলে গেছে দীর্ঘ একটা দানবসড়ক। তার পাশে পর পর বেশ ফাঁক রেখে বসে আছে ছোট ছোট ঝোঁপঝাড়ও। জোছনার আলোয় আলোয় মুগ্ধতার শিহরণ। সঙ্গে শরীর জুড়ানো মাতাল হাওয়া। মনে আমেজ তোলা মৃদু বাতাসের আলোড়ন। নিশিজাগা পাখিরা এখানে থাকলে উপরে চেয়ে চেয়ে এই সুখজড়ানো নির্মল পরিবেশে নিঃশ্বাস ফেলতে পিছপা হতো না।

রংধনু

আমাদের বাংলা ভাষা ও কিছু কথা তানিম সিদ্দিকী আমরা বাংলায় কথা বলি। মনের ভাব বাংলায় প্রকাশ করি। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। কষ্ট করে আমাদের এ ভাষা শিখতে হয়নি। মায়ের কোলে বসে থেকেই আমরা এ ভাষা শিখে ফেলেছি। বাংলা আমাদের প্রিয় ভাষা ,  প্রাণের ভাষা। পৃথিবীতে হাজারো ভাষা আছে। তবু বাংলাভাষাই আমাদের কাছে প্রিয়। সবচে দামী। জীবনের প্রয়োজনে নানা ভাষা আমাদেরকে শিখতে হয়। আরবী ,  ইংরেজী ,  উর্দূ যে কোন ভাষাই হোক মনে মনে আমরা কিন্তু বাংলায়ই বুঝি। আমাদের হৃদয়ের গভীরে মিশে আছে এ ভাষা। কখনোই তা ভোলা সম্ভব নয়। বিশ্বসভায় আমাদের বাংলা ভাষার আলাদা মর্যাদা রয়েছে। পৃথিবীতে অন্য কোন ভাষার তা নেই। বাংলা ভাষার জন্য আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছে ,  রক্ত দিতে হয়েছে। আমরা আমাদের বাংলা ভাষাকে পেয়েছি রক্তের বিনিময়ে। পৃথিবীতে সকল ভাষার মাঝে তাই বাংলা ভাষার আলাদা কদর রয়েছে। বাংলা ভাষার সম্মানেই ২১শে ফেব্র “ য়ারীকে  “ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ”   হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

রংধনু

স্বপ্ন ভঙ্গের হতাশায় মাহদী হাসান খুব ছোটবেলায় একটা স্বপ্ন দেখতাম। আমি অনেক বড় কেউ হয়ে গেছি। চারদিকে খুব সুনাম সুখ্যাতি। স্বপ্নের শুরুটা ঠিক এভাবে সুখময়তার ভেতর দিয়ে হলেও শেষটা হত বেদনার বিষাদে সাদামুখ কালো হয়ে। আমাকে কিছু করতে হলে কি আসলেই মসনদে গিয়ে বসতে হবে ?  মসনদ ,  মুকুট ,  রাজদন্ড এগুলোই কি একমাত্র সংস্কারের মূলমন্ত্র! আমি কি তাহলে কোনদিনই আমার স্বপ্নটি পূরণ হতে দেখতে পাব না ?  কোনদিন আমার প্রিয় দেশের জন্য একটি মহৎ কাজ করে যেতে পারবো না ?  

রংধনু

এ লোক মক্কার শ্রেষ্ঠতম ফক্বীহ উমাইয়া বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান। তার শাসনামলে হজ্বের মৌসুমে মক্কার কাবা শরীফে সমবেত মুসলমানদেরকে জানিয়ে দেয়া হতো - আতা ইবনে আবি রাবাহ ছাড়া এ মক্কায় অন্য কারো ফতওয়া দেয়ার অধিকার নেই। যে কোন মাসআলা কিংবা প্রয়োজনে কেবল তাকেই জিজ্ঞেস করা যাবে। কারণ আতা ইবনে আবি রাবাহ মক্কাবাসীর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য আলেম ,  ফক্বীহ এবং শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী।

রংধনু

বিপদে চারবার প্রশংসা ইসলামের ইতিহাসে যে কজন কাজী কিংবা বিচারপতি অমর হয়ে আছেন তাদের মেধা ও যোগ্যতার আলোয়- তাদের অন্যতম একজন কাজী শুরাইহ। জীবনের চলার পথে বিপদ-আপদ এলে তিনি আল ¬ াহ পাকের কাছে চারবার শুকরিয়া আদায় করতেন। কিন্তু কেন ?  বিপদেও কি মানুষ আল ¬ াহ পাকের প্রশংসা করে ?  তাও চারবার ?

সমালোচনা

বিষ্ময়বোধের চাবুকে সুন্দর মুখচ্ছবি মীর হেলাল জানুয়ারি ২০১৩ নবধ্বনির প্রকাশ   ‘ শোকসংখ্যায় ’ ।  মুফতি আমিনীর বিয়োগব্যথায় এ আয়োজন।   যদিও এমন উৎসর্গনামা নবধ্বনি আগে করেনি। এর ব্যাখ্যায় স্বাগত কলামে উলে ¬ খ দুটি কারণের। ১. নবধ্বনির সংশি ¬ ষ্ট সবাই মরহুমের স্নেহধন্য ছাত্র ;   ২. তাঁর অসাধারণ গুণাবলির সমাবেশ। এমন   ‘ কারণ ’   নিঃসন্দেহে রঙিন ফানুসের মতন।    আমি যতোদূর জানি ,   নবধ্বনি কাণ্ডারীরা মুক্তমন ও সৃজনের মানুষ। তারা হঠাৎ সংকীর্ণগলিতে হাঁটবেন সেটা প্রচণ্ডরকম ঝাঁকুনি দেয় পাঠকমনকে। কারণ ,   সাহিত্য-সংস্কৃতি কখনোই স্বজনপোষণের নয়। বরং উন্মুক্ত বৈভবে প্রতিমান। সত্য ও সুন্দরের উত্তরাধিকার।

ইন্তেকাল

চলে গেলেন নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক মনীষী   মুহাদ্দিস আল্লামা   নুরুল ইসলাম জদীদ (রহ.) হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর একে একে আমাদের মুরব্বীগণ বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন। গত পাঁচ-ছয় বছরে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন জাতির অকৃত্রিম অভিভাবক ,   জাতীয় খতিব মাওলানা ওবাইদুল হক রহ. ,   খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম (রহ.) ,   সাবেক এমপি মাওলানা আতাউর রহমান খান ,   মুফতিয়ে আযম মাওলানা আহমদুল হক (রহ.) ,   পীরে কামিল মাওলানা জমির উদ্দিন নানুপুরী (রহ.) ,   কুতুবে যামান মাওলানা মুফতি আজিজুল হক (রহ.) এর সুযোগ্য খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম (কদিম সাহেব হুজুর) (রহ.) ,   প্রখ্যাত মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মুহাম্মদ আইয়ুব (রহ.) ,   শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক (রহ.) এর মতো বরেণ্য ওলামা-মশায়েখ।  

স্মরণ

মুফতি আমিনী রহ.- মনের অব্যক্ত বেদনা -  আসাদুল্লাহ - পৃথিবীর চলমান সময়ের খাতায় ২০১২ সাল একটি স্বাভাবিক বছর। প্রতিটি বছর ফুরালেই শুরু হয় মানুষের নানান হিসাব। কি পেলাম আর কি হারালাম। আর সে হিসাবে এ স্বাভাবিক বছরটিতে আমি পাওয়ার চেয়ে হারালামই অনেক বেশি। আর তাই এসব কারণে ২০১২ সালটি আমার হৃদয়ের খাতায় অস্বাভাবিক হয়ে থাকল।

জীবন থেকে নেয়া

যে ঘটনা বদলে দিয়েছিল   আমাদের জাতীয় কবির জীবন তামীম রায়হান আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ঘরে জন্ম নেয়া ২য় ছেলেটির নাম ছিল বুলবুল। পুরো নামে অরিন্দম খালেদ বুলবুল। কবি তার এই ছেলেটিকে খুব ভালবাসতেন ,   তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। বাবা হিসেবে মনের মত করে তিনি তাকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ,   তার জীবন ও যৌবন সাজাতে চেয়েছিলেন। ছোট্ট বুলবুল এর গলাও ছিল অসাধারণ মিষ্টি। কবির সাথে যারা আড্ডা দিতে তার বাসায় আসতেন ,   তারাও তাকে আদর করতেন ,   তার মুখের কথা ও বুলি শুনে অবাক হতেন। শুধু কি তাই ,   কবি যখন হারমোনিয়াম হাতে নিয়ে কোন সুর বাজাতেন ,   ছোট্ট ছেলে বুলবুল সবাইকে তাক লাগিয়ে বলে দিত ,   আব্বু এখন এই গানটি করবেন ,   এ বাজনা এ গানেরই। তার গলায় গান শুনে অবাক হয়েছিলেন তৎকালে কবির বন্ধুবান্ধবরাও।

যে প্রদীপ নিভে গেল

শায়খ আল্লামা সাঈদ রামাদান আল বুতি কেন তিনি একজন অসাধারণ তামীম রায়হান তুর্কিস্তানের এক বৃদ্ধ আলেম। কেউ তার নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি নাম বলেন ,  মোল্লা রামাদান। বাংলায় বলা যায় ,  রমযান মোল্লা। অতি সাধারণ নাম। তার বেশভূষাও সাধারণ। তুরস্কের বুতান নামের ছোট্ট একটি দ্বীপের গ্রামে তার বাড়ী। ১৯৩৩ সালে তিনি সিরিয়ার রাজধানীতে চলে আসেন। কদিন পর পর তিনি নিজের এলাকায় যান। আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করে আসেন। যাওয়ার আগে দামেস্কের রমরমা বাজার থেকে স্বজন ও বন্ধুদের জন্য কিছু উপহার কেনা তার অভ্যাস।

প্রধান রচনা

প্রিয় ভাই! পৃথিবী আপনাকে ডাকছে !! লাবীব আব্দুল্লাহ দেশের আনাচে কানাচে আজ গড়ে উঠেছে কওমী মাদরাসা। নূরানী মক্তব থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত জামেয়ার সংখ্যা আজ আর হাতে গোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারাবছর ঢিমেতালে সবক চললেও প্রায় সব মাদরাসায় সালানা কিংবা বার্ষিক পরীক্ষার আগে তাড়াহুড়ো করে সিলেবাস বা নেসাব শেষ করার প্রবণতা আমাদের অঙ্গনে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

স্বাগত কলাম

আমরা কৃতজ্ঞ এবং লজ্জিত।   নবধ্বনির জানুয়ারী সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল সময়ের প্রবাদপুরুষ হযরত মুফতি আমিনী রহ ,   এর স্মরণে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এর প্রথম মুদ্রণের সবগুলো কপি শেষ হয়ে যায়। এরপর ২য় মুদ্রণ। অল্পসময়ের মধ্যে সেটিও শেষ। আমাদের নিজস্ব মজুদের জন্য শ খানেক কপিও আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ফেব্র “ য়ারী মাসের শুরুতেও সারাদেশ থেকে পাঠকদের অব্যাহত চাহিদা দেখে আমরা আবারও তৃতীয় বারের মতো নবধ্বনির জানুয়ারী সংখ্যাটি প্রকাশ করি। সেটির ব্যবস্থাপনা ও বিপণনের ব্যস্ততায় ফেব্র “ য়ারী সংখ্যাটি আমরা প্রকাশ করতে পারিনি। আমাদের অতবড় অফিস নেই ,   বেতনভুক্ত কর্মচারী নেই ,   পয়সাওয়ালা প্রকাশক কিংবা রাজনৈতিক মেরুদন্ড নেই- এতগুলো নেই এর ভীড়ে ফেব্র “ য়ারী সংখ্যাটিও নেই হয়ে গেল। তারপর মার্চ। অব্যহাত হরতাল আর সহিংসতায় উত্তপ্ত রাজধানীতে নবধ্বনির ট্রেসিং এবং কাগজ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করার সাহস আমাদের মতো ক্ষুদ্রজনদের নেই ,   কাজেই সেটিও আর হলো না। এত নেই নেই এর ভীড়ে আমরা কিন্তু   ‘ নেই ’   হইনি ,   এর প্রমাণ হিসেবে আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি এপ্রিল সংখ্যাটি। হযরত মুফতি আমিনী রহ.